ফরিদ হাসান,ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটার
নিজ ক্যাম্পাস যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে এক ছাদের তলায় এনে স্বল্প সময়ে সবার সাথে সবার যোগাযোগকে সহজতর, প্রাণবন্ত ও দ্রুত করতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আদলে একটি সাইট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী শেখ এজাজুল কবির।তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।সাইটটি তৈরির পর অনেকের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
![]() |
| ছবিঃশেখ এজাজুল কবির,শিক্ষার্থী যবিপ্রবি |
পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে অবসরে নিজ উদ্যোগে তিলে তিলে নিজস্ব শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে প্রায় আট মাসের সাধনায় অত্যন্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জাস্টিয়ান ডট এক্স ওয়াই জেড নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন এজাজুল কবির।সাইটটি মার্ন (MERN) স্ট্যাকে বিল্ড করা এবং কোডিংয়ের মাধ্যমে তৈরি।
শেখ এজাজুর কবিরকে তার এই ওয়েবসাইট তৈরির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাস্টিয়ান ডট এক্স ওয়াই জেড সাইটটি আমার নিজেরই বানানো। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এবং স্টুডেন্টদেরকে একসাথে এক প্ল্যাটফর্মে আনার জন্য ডিজাইন করা। এতে আমরা স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি যেকোনো ডিজিটাল কাজ অনেক সহজে করতে পারব যেমন, পেমেন্ট গেটওয়ে এছাড়া যেহেতু ইন্টিগ্রেট করা আছে তাই ডোনেশন, টিকিট রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজ ও করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সাইটটি একদমই ইনিশিয়াল পর্যায়ে আছে। আরো আপডেট আসবে সামনে।পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে কোড করে এটি বানিয়েছি। সাইটটি মার্ন( MERN) স্ট্যাকে বিল্ড করা সেই সাথে অথেনটিকেশনসহ অনেক ধরনের সিকিউরিটি ফিচার এড করা আছে।
ওয়েবসাইটটির দুইটি সাইড আছে। একটি সোশাল সাইড এবং অপরটি ই-কমার্স সাইড। ই-কমার্সের অংশটি এখনো ওপেন করা হয়নি। কিছু বৈধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই অংশটি চালু করা হবে। একটি সাথে এটিকে মাল্টিভেন্ডর ই-কমার্স সিস্টেমে আপগ্রেড করার ইচ্ছা আছে। তাহলে স্টুডেন্টরা যেকোন প্রোডাক্ট বা পণ্য কেনা-বেচা করতে পারবে।
বর্তমানে তিনি প্যানিক বাটন এবং ইমার্জেন্সি মেসেজিং সিস্টেম ইন্টিগ্রেট করার জন্য ও কাজ করছেন বলে জানান। এতে কোনো ইমার্জেন্সিতে সকলকে জানানোর প্রয়োজন হলে এক ক্লিকেই একটা মেসেজ অধ্যয়নরত সবার কাছে মেইলের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। আরো অনেক ফিচার যুক্ত করার ইচ্ছা আছে বলেও জানান এজাজুল কবির।
এজাজুল কবির তার পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, আপাতত একাডেমিক প্রেশার এবং টিমের অভাবে কাজে একটু ধীরগতি এসেছে। কিন্তু ইনশাল্লাহ দ্বিতীয় বর্ষের সেমিস্টার পরীক্ষার পর এটা নিয়ে ভালোভাবে কাজ শুরু করব।
ওয়েবসাইটিকে ঘিরে কেমন সাড়া পড়েছে জানতে চাইলে এজাজুল কবির বলেন,সাড়ার ব্যাপারে বলতে হলে এটা বলতেই হয় যে আমাদের এক্স স্টুডেন্ট অর্থাৎ অ্যাল্যামনাই সাইটটি নিয়ে সবাই বেশ এক্সাইটেড।
তবে,অফিশিয়ালি ভালোভাবে প্রচারের অভাবে আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই সাইটটির ব্যাপারে জানেনা। যার কারনে অ্যাকাউন্ট খোলার রেশিও একটু কমে এসেছে বর্তমানে। কিন্তু তারপর ও বর্তমানে ৪৩৮ টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যাকাউন্টই এক্স স্টুডেন্টদের।তারা একাউন্ট খুলছে, ছবি আপ্লোড দিচ্ছে, সবাই এনজয় করছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে জাস্টিয়ান সাইটটিকে অ্যাল্যামনাইকে দিয়ে দেয়াই ইচ্ছা। সাইটটি হোস্ট করে রাখার জন্য আামকে প্রতি মাসে ১৮০০ টাকা দিতে হয় সার্ভারের জন্য। সাইটটি রেডি হয়েছিলো বেশ আগে। কিন্তু হোস্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলসহ অনেক জায়গায় যাওয়ার পর ও কোনো সাড়া না পেয়ে শেষে নিজেই সার্ভার নিয়ে এটাকে হোস্ট করেছি। এখন প্রতি মাসে আমাকেই সেই বিল দিতে হচ্ছে। আশা করি ইনভেস্টমেন্টটি বৃথা যাবে না।

Comments
Post a Comment