ফরিদ হাসান,যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সম্মুখ সড়কে বহিরাগত দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হয়েছেন যবিপ্রবির দুই ছাত্রী, মধ্যরাতে প্রতিবাদে উত্তাল যবিপ্রবি। এঘটনায় তৎক্ষনাৎ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, আনুমানিক রাত ৮:৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ার বাইরে প্রধান ফটক থেকে একশো গজের মধ্যে থেকে ক্যাম্পাসের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দুই ছাত্রী।এসময় কয়েকজন সাইকেল আরোহী(স্থানীয় লোক) ঐ দুইজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও উত্যক্ত করেন। এঘটনা জানতে পেরে ইভটিজারদের ধাওয়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সম্মুখে যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় তাঁরা 'ইভটিজারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশান, আমার বোন ইভটিজিং কেন প্রশাসন জবাব চাই, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশান' বলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনাটি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেয় এবং ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে। পুলিশ এসে তৎক্ষনাৎ অভিযান চালিয়ে এক জনকে আটক করে। আটককৃত আসামী যশোর সদর থানার সাজিয়ালী গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলীর পুত্র জিয়ারুল ইসলাম (২৫), তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
![]() |
| ছবিঃঝিনাইদহ হতে আটক ইভটিজার জিয়ারুল |
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব ইবনে সাইদ বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ছিলাম।এই ঘটনা তাঁরা(ঐ দুই ছাত্রী) আমাদের জানানোর পরে আমরা ইভটিজারদের ধাওয়া করলে একজনকে ধরতে সক্ষম হয় এবং বাকীরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ক্যাম্পাসের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করি এবং শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে দুইঘন্টার মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীরা যেন ক্যাম্পাস এরিয়া সহ যশোরের প্রতিটি স্থানে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।
এবিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে স্থানীয় একটি ছেলে বাজে মন্তব্য করে ও বাজে ভাষায় কথা বলে। এ কথা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পুলিশকে অবহিত করি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলেটাকে গ্রেফতার করে, এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, পাশাপাশি সকল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ও ধন্যবাদ জানাই।
এসমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভটিজিং বিষয়ে একটি কমিটি আছে।যদি এমন ধরনের কোনো অভিযোগ আসে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো: তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়ারুল নামে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তাঁকে গ্রেফতার করি। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করে আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করবো।

Comments
Post a Comment