ফরিদ হাসান,যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর বাসার দরজা ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ জামিল ইমরান সজীব ও তাঁর বাবা মোঃআসাদুজ্জামান(অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার) যশোরের কোতয়ালী মডেল থানায় এ মামলা করেন।
![]() |
| ছবিঃচোর প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ |
মামলায় মোঃআসাদুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা দেড়টার দিকে যশোর শহরের আরবপুরের বিমান বন্দর রোডে অবস্থিত তাঁর ছয় তলা ভবনের পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে দুইজন চোর ঢোকে। এ সময় চোরেরা তাঁর ফ্ল্যাটে থাকা আনুমানিক সাত ভরি সোনা ও নগদ তিন লাখ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়া ফ্ল্যাটের ভেতর আসবাব ও তছনছ করা হয়েছে।বাসার সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ওই দুই চোরকে শণাক্তের চেষ্টা চলছে।
যবিপ্রবির শিক্ষার্থী মোঃ জামিল ইমরান সজীব
বলেন, আরবপুরের নিজ বাসার ছয় তলা ভবনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে তিনি, তাঁর মা জাহানারা খাতুন (একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক) ও বাবা মোঃআসাদুজ্জামান থাকেন। আজ সকাল আটটার দিকে তাঁর মা স্কুলে ও বাবা সকাল সাড়ে এগারটার দিকে ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য গিয়েছিলেন এবং তিনি সকাল নয়টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন।ফলে তখন কেউ বাসায় ছিলেন না।দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারটার দিকে তার মা বাসায় এসে চার তলার একটি ফ্ল্যাটের পরিচিত এক ভাড়াটিয়া মহিলার সাথে গল্প করতে যান।এর আধ ঘন্টা পর তাঁর মা পাঁচ তলায় নিজ ফ্ল্যাটে যাওয়ার সময় তাদের বাসা থেকে দুইজন যুবককে বের হতে দেখেন। কিন্তু ওই দুজন চোরকে দেখে তিনি তার ছেলের বন্ধু মনে করেন ভাবেন তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হয়তো বাসায় ফিরেছেন।এরপর বাসায় রুমে প্রবেশ করে তিনি দেখতে পান দরজা খোলা ও ভেতরের সব আসবাব এলোমেলো এবং আলমারির ড্রয়ার খোলা। তাৎক্ষণিক তার মা বাসার সকল ভাড়াটিয়া ও লোকদের ডাক দেন এবং ওই চোর দুটোর পিছু নেন ততক্ষণে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যান।আমাদের বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে চোরের ছবি দেখা যাচ্ছে কিন্তু এখনো তাদের শনাক্ত করা যায়নি।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ' দুপুরে নামাজ পড়ার জন্য তাদের ফ্ল্যাট থেকে একটি ছেলে বাইরে বের হয় তখন ক্রপসিকল গেট খুলে রেখেই সে চলে যায়। সেজন্য চোর সরাসরি পাঁচ তলায় আসতে পেরেছে।চোরেরা প্রায় সাত ভরি সোনা চুরি করেছে। এ ছাড়া তিন লাখ ত্রিশ হাজার টাকা খোয়া গেছে।প্রশাসনের নিকট আবেদন দিন দুপুরে সিসিটিভির মত উচ্চ সিকিউরিটি ও প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তারা চুরি করতে পারে। তাহলে মানুষের জানের নিরাপত্তা কোথায়। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে এবং অনেক উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে চোরকে যেন শনাক্ত করা হয় এবং চোরের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হয়। যেন এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী ও সমাজবিরোধী কাজে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দেখে এমন দুঃসাহস করার কেউ সাহস না করতে পারে।। '
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বাসায় চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবা থানায় এসে মামলা করেছেন। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


Comments
Post a Comment