ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের অর্থসংগ্রহে শিক্ষার্থীরা
ফরিদ হাসান,যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়বুর রহমানের মায়ের জীবন বাঁচাতে গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছে তারসহপাঠী,যবিপ্রবির সাংস্কৃতিক সংগঠন 'জলতরঙ্গ' ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন 'জলতরঙ্গ', "মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন" শিরোনামে গতকাল(২১ জুলাই) যশোর শহরের পৌরপার্ক,কালেক্টরি ভবনের পার্শ্বস্থ পুকুর পাড় ও প্যারিস রোডে গান গেয়ে কালেকশন বক্সে করে অর্থসংগ্রহ করেছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকালে যশোর শহরের পৌরপার্ক এলাকায় গানের এ আয়োজন করেন সংগঠনটির প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য। এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য তৈয়বুর রহমানের মায়ের চিকিৎসার জন্য মানুষের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করা।তৈয়বুরের বাড়ি খুলনা বিভাগের কয়রা উপজেলায় এবং তার বাবা মৃত মোঃ তছমান গাজী ও মাতা নারগিস খাতুন।বাংলাদেশ ক্যান্সার ইন্সটিটিউট মহাখালী, ঢাকাতে ২৩ তারিখ (জুলাই) তার মাকে ভর্তি করা হবে একসূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়বুরের মা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ। তার মায়ের চিকিৎসার জন্য অনুৃমানিক ৩ লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। তৈয়বুরের পিতা মারা যাওয়ায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এখন তৈয়বুর।টিউশনির মাধ্যমে সে তার নিজ পড়াশোনাসহ পরিবারের খরচও বহন করেন।
সংগঠনের সদস্যরা বলেন, আজ আমরা প্রায় ৫০ জন মিলে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়েছে।অপারেশনের জন্য এখনো অনেক টাকার প্রয়োজন।আগামী মাসের (আগস্ট) প্রথম সপ্তাহে তার মায়ের অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে। তাই জুলাই মাসব্যাপী আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
যবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাশেদ খান জানান,তৈয়বুরের বাবা মারা যাওয়ায় তৈয়বুরকেই টিউশন করে পরিবারের খরচ চালাতে হচ্ছে।এমতাবস্থায় তার মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ চালানো অত্যন্ত কঠিন ও প্রায় অসম্ভব।কেননা তাদের আর্থিক অবস্থা নাজুক।তাই যবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী,রাজনৈতিক সংগঠন,যবিপ্রবির বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনসহ শিক্ষার্থীদেরকে তৈয়বুরের মায়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।তাছাড়া অর্থসংগ্রহের জন্য জুলাই মাসব্যাপী আমাদের অর্থসংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে যেহেতু এখনও পর্যাপ্ত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।






Comments
Post a Comment